বাক্‌ ১৫১ ।। সৌমনা দাশগুপ্ত

 

দরজা

 

 

মেঘের গায়ে আঁচড় কাটছে কুকুর

 

মেঘের কোনো দরজা ছিল না

মেঘের কোনো দরজা ছিল না

 

দরজার কোনো ঘর ছিল না

খোলা মাঠে একক ভৈরব

 

শুধু ওয়াটেজ কমে আসে

নিভু নিভু মাঠ, জলাশয় অংশত ভেজা

 

একটি চন্দ্রবিন্দু নাচছে

অজস্র চন্দ্রবিন্দু, যেন শিশির

 

তারার প্রলাপ ঢুকে যাচ্ছে দরজার ভেতরে

 

 

আমি

 

 

দানা দানাআমি’-কে খেতে ছড়িয়ে দেওয়ার পর কাঠবেড়ালিরা আসে কুটকুট করে খায় আমার বাদাম

 

পিঠের ওপর দিয়ে যে এইমাত্র একটা সাপ হেঁটে গেল, তুমিও একবারও টের পেলে না শুধু অস্থানে প্রস্রাব ঝরে যায়

 

আকাশের বুকে-পিঠে ফুটে ওঠে তারার ঘামাচি

 

মাথার ভেতর ঘাই মারছে বোয়াল মাছ হাড়ের ভেতর পিছলে যাচ্ছে হাওয়া আর ফুসফুস লিখতে বসে লিখে ফেলছ তামাক খেতের উপাখ্যান তোমাকে দেখেই পালিয়ে যাচ্ছে শীতঋতু, আর স্লাইডিং কাচের ওপাশে কেবলই বরফ পড়ে

 

ক্যাথল্যাবে কাটাকুটি খেলা হৃৎপিণ্ড কাটাছেঁড়া করতে করতে আচমকা বেরিয়ে এল ভিজে এক দণ্ডবায়স তোমারই মাথার ভেতর পুরীষ ত্যাগ করে সে একটিবার মুচকি হাসল, তারপর উড়ে গেল সূর্যতোরণের দিকে

 

তোমার ঘুড়ি একা একাই ভো-কাট্টা হয়ে গেল

 

 


No comments:

Post a Comment