বাক্‌ ১৫১ ।। এহিতা এরিন

 


আকরাংশ থেকে : বহুদূর শারীরিক

 

বুকের হাপর 

 রক্ত

ঝরাও কারনেশন

নাগচাপা-পাপড়ি 

ঝরঝর    শীতল কান্না

দ্রুতগতির রাজহংসীপক্ষিটি থিতু হও, প্লিজ

 

বন্দরের অ|শান্ত বৈঠাখবর রেখেছো কে কবে!

 

বৃষ্টির হীরকখণ্ড     এখানে ওখানে 

দপ||দপ

শামিয়ানা 

 

কথিত নীড়ের 

গন্ধ মুছে গেছে 

মিথ্যেবাদী  কুয়াশায় 

 

 

ট্রামরেস আয়ুরেখাপথ

 

অঙ্কের গাড়িধরো ১/ ২ /৩তাদের ফাঁক গলে বেরিয়ে যাচ্ছে যে লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্স, তার বাঁশি ও ধোঁয়াশাতোলপাড় রেসের মধ্যে একজোড়া চোখ। 

      একটি চোখ, ভাগীরথী

      একটি চোখ, অলকানন্দা

 

      দূর-সম্পর্কে বোন হয় তারা।

 

আর এক জীবনানন্দ মনখারাপের ট্রামের নিচে আইসবার্গের মতো নিজেরই ভঙ্গুর মাথা ফেলে রেখে তিতিক্ষায় আছেন।

 

তিনশত ষাট ডিগ্রী ঘুরে এসে ফের-আবার দেখা দিলো নিজের ডেডবডি। ওখানে কলির কৃষ্ণ, তার বাঁশি ও সুরসঙ্গমে বিভোর হলে, বসন্ত অধরাই রয়ে যাচ্ছে আজ!

 

দশা এইদীর্ঘশ্বাসে জড়ানো বিষাদের নখে-বুকে রক্তের দাগ! দহন ও দংশন হতে পারে মৃত্যুর যথার্থ বিকল্প সঙ্গীত

 

কৃষ্ণের বাঁশিটি হাতে ধরে ফিরে যাচ্ছিলাম হাতের মসৃণ আয়ুরেখা ধরে। আর কোন বিকল্প মানচিত্র থাকলে বলো।

 

 

 

 

আনইকুয়াল ইকুয়েশন

 

সাড়ে চৌদ্দশো গ্রাম হৃদয়ের পোস্টকোড  অজানা

ভোরের বাতাসের মতো একই উপভোগ্য নিঃসঙ্গতায়

শীতল দূরত্ব বিষয়ক মধ্যভাগে গ্রহ নক্ষত্রেরা খসে পড়ে

মিহি সুতোয় বোনা অনিরামেয় বজ্রগুণন ক্ষতের ঝলকানি

 

কান্না ঝরা ০তায়

ছিন্নভিন্ন পরিত্যক্ত পাল

ভালোবাসা ও স্বাগত অভ্যর্থনার ফাঁদে

সাদার নিয়ত মান ধ্রুব বিশেষ নয়

 

 

 

 

দেহদিনের রোদমুদ্রণ

 

হসন্তেরা খুলছে দিন ও দেহের যত অ-মুদ্রিত রোদবিস্ময়!

 

লীলায়িত নৃত্যভঙ্গিতে ডিম্পল অফ ভেনাস; প্রকৃতিতে সৃষ্টি হয় মদ, মধু, সর্ষের পরিভাষা। ভাষার গহীনে বিলুপ্ত লিলিথের মিথ হয়ে ভেসে থাকা সারস হয়েছি।

      কুসুম যেমন ১ান্তে গন্ধ ছড়ায়...

 

যে চোখ দেহপসারিণীর, সে চোখের  আগুন ও উন্মাদনায় পুড়ে ছাই ব্যর্থ হ্যামলেট ; যেভাবে উড়ে যায় ওথেলোর স্খলিত শিশিরসঙ্গম।

 

শরীর মৌবন হলে তুমিও রাশিয়ান সেক্স কয়েন, যে কোন আসনই অর্থবহ, অর্গাজম নিয়ে বাড়ি ফেরা যাচ্ছে।

 

 

 

সানসিল্ক রোদ

 

বুঝতে পারি, তবু চুপ করে থাকি,

খুব কম কয়লাই হীরা হয়।

গাছেরা ঝরে ঝরে, মরে মরে কাঠ

বসতিজুড়ে মানুষের বর্জ্য, ময়লা ও কফ।

 

গাছের নিরাময় করবো বলে পা বাড়াই।

গাছের ডাক্তার যদিও জানা নেই,

থাকি ঠিক সেখানে; যেখানে চারাগাছ মাথা তোলে।

 

আহত শিরীষ উড়ে যেতে দেখেছি

কাঠপিঁপড়ের মরে যেতে থাকাও...

ময়লার স্তুপের ওপর রঙিন প্রজাপতি।

 

বুনোবাতাসের আঙুলে আঙুল রেখে

হেঁটে যায় সানসিল্ক রোদ।

 


No comments:

Post a Comment