বাক্‌ ১৫১ ।। বিদিশা সরকার

 

শঙ্কর দয়াল

 

 

প্রথম দৃশ্য

 

হাসি, যবনিকার পর গ্রীনরুমে বসেছিল।

 

শঙ্কর দয়াল মুগ্ধ হয়ে সেই ক্লান্তি আস্বাদন করতে করতে

টিস্যুপেপারগুলো ভিজিয়ে নিচ্ছিল স্যানিটাইজারে ।

 

সেই ভাঁজ

ব্রীঢ়া 

বিবেক প্রধান প্রতিবাদের ডায়লগগুলো ওর মুখস্থ

 

প্রম্পটারের ঠোঁটের হাসি

আন্দাজের অন্ধকারে দেখতে পেয়েছিল সেই সব আঁচড়

 

শঙ্কর দয়ালের চোখ মুছে দিতে দিতে হাসি 

ছিঁড়ে ফেলেছিল এক দিস্তা স্ক্রিপ্ট  

 

বুড়ো শিবতলায় মাথা কুটে কুটে

সব রক্তই সিঁদুর হয়ে যায়

 

 

 

 

দ্বিতীয় দৃশ্য

 

সেই গুহাদৃশ্যের আদিম মানুষের সঙ্গে

শঙ্কর দয়ালের সব কথা ছিল দুর্বোধ্য

ইঙ্গিতপূর্ণ

গথিক —--

 

সংলগ্ন শিরীষ গাছে ঝোলানো দোলনায়

হাসির প্রতিধ্বনি……

বুকের ভাঁজের ভিতর একটা লকেট 

ঘেমে উঠছে

শুকিয়ে যাচ্ছে

ঘেমে উঠছে

 

দোলনায় দৃশ্যের পর যবনিকা পতনের কোনো প্রশ্নই ওঠে না

 

লকেট? না প্রতিচ্ছবি? 

দয়াল দোলনাটা থামাতেই পারছে না —-

 

 

 

 

তৃতীয় দৃশ্য

 

রাই যেদিন হাসিমুখে সম্মত ছিল বাসকশয্যায় 

কুসুম দোলায়

কবচকুন্ডল 

দেবযোনী 

টীকা ও টিপ্পনিসহ 

ভবভূতি 

বাগভট 

ভট্টিকাব্য 

চরু ও চরসে

 

 

একটা স্থির প্রদীপ অবলোকনের অপেক্ষাকে 

দীর্ঘসূত্রতায় টেনে নিয়ে,

ওষ্ঠকে ডেকেছিল - ডালিমফুল

অশ্রুবিন্দুকে - অভিসারিকা 

কুন্দন খুলে দিতে দিতে বলেছিল ,

সহনশীলতা ব্যথার পরীক্ষা

ব্যথাকে ,পরাগমিলনের সম্মত প্রশ্রয় ।

 

দয়াল জানত ,

ভাগ্যরেখার ওপর দিয়ে হেঁটে যায় উত্তরসূরিরা 

মিলন বিলাসিতা নয় 

এক যুগ অপেক্ষার পর

মধুক্ষরণের ব্রহ্মমুহূর্ত

 


No comments:

Post a Comment