অথচ মানুষ
পাগলের
ভেক ধরে বসে আছি চৌরাস্তায়।
দেখি
-
দিন
ও রাতের নামে
সময়েরা
ওঠে আর নামে।
পায়ের
উপর দিয়ে গড়ায় রিক্সার চাকা।
মানুষের
হন্তদন্ত পা মাড়িয়ে যায় ধুলোর দেউড়ি,
মরা
ভেবে পিঁপড়ারা ভুল করে রোজ।
পাগলের
ভেক ধরে চৌরাস্তায় করি কার খোঁজ?
যেন
বা সাধুর বেশে,
যেন বা পুরুত যেন
আপিসের
বড় স্যার, যেন মানবিক
যেন
মুঠে ধরে আছি মায়ের আঁচল!
যেন
এ তল্লাটে এক ফলজ গাছের ছায়া !
হা
করা মুখের পাশে যে মাছি ঘ্যানঘ্যান করে-
তার
প্রতি চুপচাপ হাসি!
পাগলের
ভেক ধরে এই মোড়ে আমি রোজ আসি।
গাড়ি
চলে। গাড়ির গতিতে
রাস্তারা
চলে নাকি?
ঠকাঠক
অট্টালিকা উঠে যায় আসমানের কাছাকাছি।
মানুষেরা
যেন মৌমাছি -
গুঞ্জরনে
ভরে তুলছে চাক!
যেন
বা প্রেমে পড়ছে,
যেন হৃদয়ের
ভিতরে
থৈথৈ মধু ; যেন
আলোর
মতোই তারা হাসতে শিখে গেছে!
যেন
বা শব্দগুলো প্রাণ হতে উৎসারিত - দেখি!
পাগলের
ভেক ধরে বসে থাকি চৌরাস্তায়।
কুকুরের
মতো কভু গড়াগড়ি করি,
হেসে
উঠি সাপের মতো।
অথচ
মানুষ!
সংক্রামক
চেয়েছি
সংক্রামক ব্যাধি হয়ে ছড়াবো হৃদয়ের দেহে।
দেহের
হৃদয়ে তুমি তাবিজের খিল দিয়ে আছো।
অধিকন্তু
রক্তের লালে
মেশালে
ভ্যাক্সিনের বূহ্য।
এ
শীতল বরফের যুগে
নিষ্ক্রিয়
হয়ে পড়ে আছি।
উষ্ণতা
পেলেই আমি সংক্রামক হবো।
No comments:
Post a Comment