নিঃসঙ্গ
সকাল
থেকেই একটা চড়ুই
ইলেকট্রিক
তারে বসে—
পৃথিবীর
দিকে কী করুণ ভঙ্গিতেই-না
তাকিয়ে
আছে!
যেন
বহুদিন ধরে তার কেউ নেই—
শুধু
একঝাঁক পায়রা ডানা মেলে উড়ছে আকাশে
দলছুট
চড়ুইটি কেন যে ঝাঁকেরপানে তাকিয়ে রয়েছে ইলেকট্রিক তারে বসে একা—?
২.
একেকদিন
এমন হয়
চোখের
দু-কূল ভারী হয়ে আসে
আর্দ্র হয়—
কূল
জুড়ে ঢেউ ভাঙে।
কাছের
মানুষটি পর্যন্ত টের পায় না!
পতন
স্তব্ধ—
ধুলোয়
লুটোনো হাওয়া
উড়তে
উড়তে
সজোরে
ধাক্কা খায়—
গৃহস্থের
পুরোনো ও প্রাচীন অশ্বত্থের ডালে
পরক্ষণে, ঝরাপাতা এক
ঘুরতে
ঘুরতে লুটিয়ে পড়ছে
নিস্তরঙ্গ
ধুলোয়!
শুধু
একটি বুলবুলি তা,
নিভৃতে—পাতার ফোঁকর
থেকে
লুকিয়ে
লুকিয়ে দেখছে।
বিধুরিত
এই
বিধুর সন্ধ্যায়—
কিছু
ভালো লাগে না, অলকা!
কোলাহল—নিভে যাওয়া
সন্ধ্যায়
তুমি
ফিরে যেতে বাড়ি।
আমার
যাওয়ার নেই কোথাও...
একা
একা সেই গহীন অরণ্য ঘেঁষে হেঁটে যেতাম কেবল
পাড়া
জুড়ে তখন কী শান্ত নীরবতা—
শুধু
সমুদ্রজুড়ে ঢেউয়ের কলকলানি তখনো থামেনি!
হ্রেষাধ্বনি
যে পাখি শিকার ভুলে আমূল
বিঁধেছে তীর—তারে হায়! কেনো শেখাতে যাও জীবনের ধাঁধা! তার'চে বরং
পাখিদের গল্প বলো—যারা উড়ে গেছে অনাহূত দিনে। সাইবেরিয়া থেকে
দূরের শীতের দেশে; যেখানে ছড়িয়ে আছে বিবিধ গমের খেত। লাবণ্য
ধরে ধরে যারা এগিয়ে গেছে—হিমপ্লাবিত অঞ্চল। আর হারিয়ে ফেলছে
পথের দুর্বোধ্য বাঁক—
আমর্ম
বিষাদের দিন, উড়ে আসা হ্রেষাধ্বনির চেয়েও মর্মর।
No comments:
Post a Comment